শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে কচুর লতি চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিভিন্ন ব্লকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাষ হচ্ছে বারি জাতের লতি কচু। দেশে বেশ কয়েক প্রকার কচুর লতির জাত রয়েছে। এসব জাতের মধ্যে উদ্ভাবিত বারি পানি কচু-১ এবং বারি পানি কচু-২ উল্লেখযোগ্য।

উন্নত জাতের এ লতি লম্বা ও বেশ মোটা এবং গিঁটযুক্ত মাংসল দ্রুত গলে যায়। স্বাদের কারণে বাজারে চাহিদাও বেশি হয়। অর্থকরী ফসল হিসেবে এই সবজি বেশ লাভজনক। উপজেলায় এবার ১২ টি ব্লকে ৬ হেক্টর জমিতে বারি জাতের এ লতি কচুর চাষ হয়েছে।

বারঘরিয়া ব্লকে কৃষক আব্দুল আলীম ২০ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পানি কচু-২ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এ লতি কচুর ফলন ভালো, বাজারেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জমি থেকেই পাইকাররা ৭০-৮০ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছি। আশা করছি আগামী তিন মাসে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারব। গোগোর ব্লকে কৃষক সিরাজুল পানি কচু-২ চাষ করেছেন। তার মতে, এ কচু লতির চাষ ধান চাষের চেয়েও অনেক লাভজনক। প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, পানিকচু ও লতিকচু অনেক সুস্বাদু একটি সবজি। এর বাজারদর বেশ ভালো হয়। বর্তমানে বাজারে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে অনায়াসে বিক্রি করা হচ্ছে এসব কচুর লতি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয দেবনাথ জানান, কচুর লতি অনেক সুস্বাদু একটি সবজি, ফলনও বেশি হয়। এ জাতের কচুর লতি চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ১০-১৫ হাজার টাকা। আর মৌসুম শেষে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা। এটি চাষ কেবল আর্থিকভাবে লাভজনক নয়, আয়রন সমৃদ্ধ সবজি যা শিশু এবং গর্ভবতী মাযেেদর পুষ্টি নিরাপত্তায় দারুণ ভূমিকা রাখে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com